শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:১১ অপরাহ্ন
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় লাইফ কেয়ার হসপিটালের মালিক ডাঃ নিপা মন্ডলের ভুল চিকিৎসায় রুমানা নামের এক গর্ভবতীর গর্ভজাত নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রবিবার (৩০ আগস্ট) রাতে ভাণ্ডারিয়া প্রেসক্লাব বরাবরে ভুক্তভোগি রুমানা বেগম এর আপন বড় ভাই মো: গোলাম আযম একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগি ক্ষতিগ্রস্থ রুমানা উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামের ইমাম হোসেন এর স্ত্রী।
গোলাম আযমের অভিযোগ, তার বোন রুমানা গর্ভবতীকে গত ১৯ আগষ্ট লাইফ কেয়ার হাসপাতালের মালিক ডাঃ নিপা মন্ডলকে দেখালে তিনি আলট্রাসনোগ্রাফি করে একটি চিকিৎসা পত্র দেয়। সে অনুয়ায়ী রোগী ঔষুধের ৭ দিনের কোর্স সম্পন্ন করলে বাচ্ছার নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়। তখন (২৯ আগষ্ট ) শনিবার আবারও উক্ত ডাক্তার নিপার মন্ডলের নিকট স্মরনাপন্ন হলে তিনি আবারও আলট্রাসনোগ্রাফি করে বোনের গর্ভজাত বাচ্ছাকে মৃত ঘোষনা করে এবং তার দেয়া চিকিৎসা পত্রের ৫০০ এমজির একটি এন্টিবায়োটিক ঔষুধ কেটে ২৫০ এমজি বানিয়ে আবারও চিকিৎসা পত্র দেয়। গর্ভজাত শিশুর মৃত নিশ্চিত হওয়ার পরও কেন ঔষুদের ডোজ কমানো হলো এমন প্রশ্নের করলে তাকে অন্যত্র চলে যেতে বলে ডাক্তার নিপা মন্ডল। পরে নিরুপায় হয়ে উক্ত রোগিকে নিয়ে স্থানীয় লাবান্য নামে একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে ওইদিন রাতেই সেখানে নরমালে ডেলিভারি করানো হয় এবং মৃত কন্যা সন্তান প্রসব করে। এ ঘটনার তদন্ত পূর্বক বিচার দাবী করেন ভুক্তভোগি পরিবার। অভিযোগ রয়েছে, এর আগেও উক্ত ডাক্তারের অপ-চিকিৎসায় এমন ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত লাইফ কেয়ার হসপিটালের মালিক ডাঃ নিপা মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সেইভ ড্রাগ দিয়ে সঠিক চিকিৎসা দিয়েছি। তবে, গর্ভজাত বাচ্ছার মৃত নিশ্চিত হয়েও কেন তিনি আবারও একই চিকিৎসা দিলেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
সুত্র রুপালী বার্তা